ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ , ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাঙ্গাবালীতে আমন ধানের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি


আপডেট সময় : ০৫-১২-২০২৪ ১২:০২:০৯ পূর্বাহ্ন
রাঙ্গাবালীতে আমন ধানের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি রাঙ্গাবালীতে আমন ধানের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

মো. কাওছার আহম্মেদ , রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:


পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালি ফসল আমন ধান। উপজেলাজুড়ে ধান খেতগুলো যেন সোনালি রঙে সেজেছে। ধান পাকতে শুরু করায় কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও শ্রমিকরা। চাষের খরচ মিটিয়ে তারা ধারদেনাও শোধ করতে পারবেন বলে আশা করছেন। ফলে কৃষকদের মনে আনন্দ বিরাজ করছে।


উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি বছরে রাঙ্গাবালী উপজেলায় ২৮ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সঠিক পরিচর্যার ফলে আশানুরূপ ফলন পেয়েছে কৃষকরা। 


সরেজমিনে দেখা যায়, জমিতে আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। উপজেলার ধান খেতগুলোর গাছের শীষ ধানে নুইয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষকরা মাঠে ধান কাটা শুরু করেছে। তবে কিছু কিছু নিচু জমির ধানের ফলন একটু দেরি করে শুরু হলেও ভালো ফলন হয়েছে। 


কৃষকরা জানান, চলতি বছরে আবহাওয়া অনুকূলে থাকার ফলে ফলন বেশি হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় কম সময়ের মধ্যেই ধান পাকতে শুরু করেছে। অনেকে আমন ধান কাটা শুরু করেছে। সব খরচ বাদ দিয়ে এই বছর লাভবান হবেন বলে আশা করছেন তারা। 


কৃষকদের অভিযোগ, স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর তাদের তেমন সহযোগিতা করেনি। নিজেদের প্রচেষ্টায় চাষাবাদ করেছেন তারা।


কৃষি অফিসের সহযোগিতা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এবার আমনের বাম্পার ফলনে খুশি তারা। তবে কৃষকদের দুঃখ-কষ্ট আর ক্ষোভ আড়াল করেছে মাঠজুড়ে পাকা ধান আর মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটার উৎসব। আমন ধান কেটে বাড়ির আঙিনায় আনার কাজ চলছে পুরোদমে।


রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, এ বছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে কৃষকরের ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষকরা আগামী দুই/তিন সপ্তাহের মধ্যে সব ধান ঘরে তুলতে পারবে। এ বছরে প্রতি হেক্টর জমিতে ৫ মে. টন ধান হবে বলে আশা করেন তিনি।


কৃষকদের অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাঙ্গাবালীতে মোট ৩০-৩৫ হাজার কৃষক এ বছর আমন ধান চাষাবাদ করেছে। আমরা কৃষি অধিদপ্তর থেকে ধানের বিজ ও সার বিতরণ করেছি। টিম অনুযায়ী কৃষকের কাছে গিয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাঙ্গাবালীতে কৃষি অফিস একটা, যার কারনে সব কৃষকের দোরগোড়ায় আমাদের পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। যদি কেউ বাদ পড়ে তারা যোগাযোগ করলে আমরা অবশ্যই তাদেরকে পরামর্শ এবং সহযোগিতা করবো।




 

নিউজটি আপডেট করেছেন : ba@news

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ